এখানে খাসিয়া পাহাড়ের অনেকগুলো ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে সুউচ্চ ঝর্ণা। বর্ষায় থোকা থোকা মেঘ আটকে থাকে পাহাড়ের গায়ে। পূর্ব দিক থেকে পিয়াইন নদীর একটি শাখা পাহাড়ের নীচ দিয়ে চলে গেছে ভোলাগঞ্জের দিকে। পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতের সাথে বড় বড় পাথর এসে জমা হয় বিছনাকান্দি।
বিছনাকান্দি ও মুলতঃ জাফলংয়ের মতোই একটি পাথর কোয়ারী। শীতকালে যান্ত্রিক পাথর উত্তোলন- সেই সাথে পাথরবাহী নৌকা, ট্রাকের উৎপাতের কারনে পর্যটকদের জন্য এসময় উপযুক্ত নয়। কিন্তু বর্ষায় এইসব থাকেনা বলে পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, মেঘের সমন্বয়ে বিছনাকান্দি হয়ে উঠে এক অনিন্দ্য সুন্দর গন্তব্য।
বিছনাকান্দি যাওয়ার একাধিক পথ আছে। বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে সিলেট গোয়াইনঘাট সড়ক ধরে হাতের বামে মোড় নিয়ে যেতে হয় হাদারপাড়। হাদারপাড় বিছনাকান্দির একেবারেই পাশে। এখান থেকে স্থানীয় নৌকা নিয়ে বিছনাকান্দি। হাদারপাড় পর্যন্ত গাড়ী যায়। সিলেট থেকে দূরত্ব বেশী না হলে ও কিন্তু রাস্তার অবস্থা ভালো নয়। (সিলেট) আম্বরখানা থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত ভাড়ার সিএনজি পাওয়া যায়।
পর্যটকদের জন্য আরেকটি বিকল্প হচ্ছে- বিছনাকান্দি যাওয়ার জন্য পাংথুমাই চলে আসা। বড়হিল ঝর্ণার কাছ থেকেই পিয়াইন নদীর একটি শাখা পশ্চিম দিকে চলে গেছে বিছনাকান্দি। নৌকা নিয়ে পাহাড়ের নীচ দিয়ে প্রবাহমান এই পাহাড়ী নদী ধরে বিছনাকান্দি যাওয়ার মুহুর্তগুলো দারুন স্মরনীয় হয়ে থাকবে। নৌকা সময় লাগে একঘন্টার একটু বেশী।